ও৩ম্
ঋগ্বেদ ৮.৩৩.১৯
পদার্থঃ নারীর প্রতি উপদেশ । হে নারী ! তুমি (অধঃ পশ্যস্ব) নীচে দেখ, বিনয়শীল হও। (মা উপরি) উর্ধ্বে দেখো না, উগ্র হইও না। (পাদকৌ) দুই পা, কে (সংহরতরাম্) ভালভাবে একত্র করে রাখ, অসভ্যতার দিকে পা বাড়িও না। (তে) তোমার (কশপ্লকৌ মা দৃশন্) শরীরের অংশ কেউ যেন না দেখে। এরূপ সদাচার দ্বারা তুমি (স্ত্রী হি) নারী নিশ্চয়ই (ব্রহ্মা ব্রভূবিথ) বেদবেত্তা বা পূজ্য হও।
অনুবাদঃ নারীর প্রতি উপদেশ। হে নারী ! তুমি বিনয়শীল হও, উগ্র হইও না। নগ্নতা পরিত্যাগ কর। তোমার শরীর হোক পোশাক দ্বারা আবৃত। হে নারী ! অসভ্যতার দিকে পা বাড়িও না। তুমি সদাচারী হয়ে বেদবেত্তা তথা সকলের কাছে পূজিত হও।
भ॒द्रं कर्णे॑भिः शृणुयाम देवाभ॒द्रं प॑श्येमा॒क्षभि॑र्यजत्राः।
स्थि॒रैरङ्गै॑स्तुष्टु॒वांस॑स्त॒नूभि॒र्व्य॑शेम दे॒वहि॑तं॒ यदायुः॑ ॥
ঋগ্বেদ ১.৮৯.০৮ ॥
পদার্থঃ হে (য়জত্রাঃ) সঙ্গ স্থাপনকারী (দেবাঃ) বিদ্বানগণ ! আপনাদের সঙ্গ লাভ করে (তনূভিঃ) বলযুক্ত বাড়ন্ত শরীর (স্থিরৈঃ) দৃঢ় (অঙ্গৈঃ) পুষ্ট শির আদি অঙ্গ বা ব্রহ্মচর্যাদি নিয়মানুসারে (তুষ্টুবাংসঃ) পদার্থের গুণাগুণ স্তুতি করে আমরা মনুষ্যগণ (কর্ণেভি) কর্ণের দ্বারা (য়ৎ) যা কিছু (ভদ্রম্) কল্যাণকারক, সেসব অধ্যয়ন কর এবং করাও (শৃণুয়াম) শ্রবণ কর এবং করাও (অক্ষভিঃ) ভেতর ও বাহিরের নেত্র দিয়ে (ভদ্রম্) শরীর ও আত্মার জন্য যা সুখদায়ক, তা (পশ্যেম) দর্শন কর, এইভাবে উক্ত শরীর ও অঙ্গসমূহের দ্বারা যা (দেবহিতম্) বিদ্বানগণের হিত সাধনকারী (আয়ুঃ) যে অবস্থা, তা (বি অশেম) বার বার প্রাপ্ত হও।
সরলার্থঃ হে সৎসঙ্গী, ঈশ্বর উপাসনা ও বিদ্যা আদি উত্তম পদার্থের দাতা বিদ্বান মনুষ্যগণ ! আমরা যেন কর্ণের দ্বারা কল্যানজনক বাণী শ্রবণ করি এবং চোখের দ্বারা কল্যাণকারী দৃশ্য দেখি। বিদ্বানগণ যেরূপ পরমাত্মার স্তুতি, প্রার্থনা, উপাসনা দ্বারা ও জানার যোগ্য পদার্থসমূহ যথাযথভাবে বর্ণনা করে দৃঢ়, সবল শরীর ও দীর্ঘায়ু প্রাপ্ত করে, তদ্রুপ আমরাও যেন প্রাপ্ত করি।
ভাবার্থঃ বিদ্বান, আপ্ত ও সাধু ব্যক্তির সঙ্গ ছাড়া কেহই সত্য বিদ্যার বচন, সত্য দর্শন ও সত্য ব্যবহারযুক্ত অবস্থাকে প্রাপ্ত করতে পারেনা। এবং এগুলি ছাড়া কারও শরীর ও আত্মা সুদৃঢ় হতে পারেনা। এজন্য সকল মনুষ্যের উচিত উক্ত ব্যবহার গুলো জীবনে প্রয়োগ করা।
